সিলেট ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৮
মেহেদির রঙ মুছেনি এখনো। কিন্তু মুছে গেছে নববধূর জীবনের প্রদীপ। বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় নেত্রকোনায় নিজের শোবার ঘর থেকে হালিমা বেগম (২০) নামে এক নববধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হালিমার স্বজনদের দাবি, হালিমাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গাভাউতা গ্রামে। ঘটনার পর থেকে হালিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাভাউতা গ্রামের আবুল হাসিমের ছেলে বিল্লাল মিয়ার (২৮) সঙ্গে গত ১৬ মার্চ পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের আন্ধা গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে হালিমা বেগমের বিয়ে হয়।
এরপর থেকে তিনি স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হেলাল উদ্দিন হালিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে মেঝের ওপর মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। ওই সময়টাতেও মেয়ের হাত মেহেদি রাঙা ছিল।
খবর পেয়ে পূর্বধলা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার সকালে পুলিশ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
হালিমার বাবা হেলাল উদ্দিন শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের সময় বিল্লালকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। তাকে আরও কিছু টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই টাকা দিতে না পারায় বিল্লাল আমার মেয়েকে হত্যা করে এখন ‘আত্মহত্যা’ বলে প্রচার চালাচ্ছে।
হালিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হালিমার স্বামী বিল্লালের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
দুর্গাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জাগো নিউজকে জানান, নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা কিছুই বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd