শেখ হাসিনার পলায়ন ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় : সিলেট জেলা বিএনপি নেতা তামিম ইয়াহয়া

প্রকাশিত: ১:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২৪

শেখ হাসিনার পলায়ন ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় : সিলেট জেলা বিএনপি নেতা তামিম ইয়াহয়া

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দু:শাসন ও পলায়নকে ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সহ শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক তামিম ইয়াহয়া।
গত ০৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবির গুলিতে নিহত হওয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জের সাত জনের পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আজ শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে নিহত সাত পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তাদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং আহতদের বাড়িতে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
এসময় তামিম বলেন, খুনি হাসিনার কাছে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিল না। কারণ, সে গত ১৫ বছরে দেশের মানুষের উপর নির্যাতনের যে স্টিম রুলার চালিয়েছে। দেশের গণতন্ত্রকে ধুলিস্যাৎ করে যেভাবে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে। মেঘা প্রকল্পের নামে মেঘা দুর্নীতি আর দেশের ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। দেশের মানুষ তাকে ধরতে পারলে তার প্রতিটি অপকর্মের হিসাব নিতো। তাকে ছিড়ে ফেলতো। মানুষের মনে এতদিন যে ক্ষোভ ছিল,শেষ পর্যন্ত তা ক্রোধে পরিণত হয়েছে। আর সেই ক্রোধের বিস্ফোরণ এতটা স্বাভাবিক হত না। মানুষ তাকে আস্ত রাখত না। যার জন্য সে তার পরিণতির কথা ভেবেই চুরের মত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আর এই পালিয়ে যাওয়াটা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়েছে। যেটা কোনো কালেই আর মুছে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগ বলতে আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন থাকবে না। মানুষ জেনে শুনে নিলর্জ্জ-বেহায়াদের আর আশ্রয় দিবে না। যে দলের প্রধান ব্যক্তিটি চুরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় সেই দলের কোনো কর্মীও আর দলের পরিচয় দিবে না। এককথায় শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন এক কলঙ্কিত অধ্যায়।
তামিম ইয়াহয়া বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ছাত্র সমাজ যে ভূমিকা রেখেছে তা অপরিসীম। মানুষের অধিকার আদায়ের এই আন্দোলনে গোলাপগঞ্জের এই সাতজনসহ এ পর্যন্ত যারা শহিদ হয়েছেন জাতী তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ রাখবে।
সৌজন্য সাক্ষাতে তার সাথে ছিলেন, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল আহমদ, সিলেট জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এম. সাইফুর রহমান, গোলাপগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, ছাত্রদল নেতা নাফি আহমদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ০৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে গোলাপগঞ্জের সাতজন নিহত হন। তারা হলেন- ধারাবহর হাসপাতালের সামনের ব্যবসায়ী, বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন (৪০), আমুড়া ইউনিয়নের শিলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে সানি আহমদ (১৮), ঢাকাদক্ষিণ বাজারের ব্যবসায়ী নিশ্চিন্ত গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে নজমুল ইসলাম (২২), ঢাকাদক্ষিণ দত্তরাইল গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র মিনহাজ উদ্দিন (২৪), পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের গৌছ উদ্দিন (৪০), ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় গ্রামের ছুরুই মিয়ার ছেলে হাসান আহমদ (১৫), নিশ্চিন্ত গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (২২) ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর কানিশাইল গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম পাবেল(১৮)। বিজ্ঞপ্তি

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2024
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..