সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে লোকবল সংকট কাটাতে আবারও বিপুল সংখ্যক জনবল নিয়োগ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ফের তৎপর হয়ে উঠেছে বিতর্কিত গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস। আবারও সেই কোম্পানীর টেন্ডার প্রাপ্তির চেষ্টায় লিপ্ত থাকায় সংশ্লিষ্টদের মাঝে নানা প্রশ্নে উদ্রেক হয়েছে। বিধিমালা লঙঘন করে আউটসোর্সিংয়ের লোকবল নিয়োগের দায়িত্ব পাওয়া সংস্থার নতুন টেন্ডারে অংশগ্রহণ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবরাহের করে আসছে নানা কারণে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস। বর্তমানে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে জনবল সরবরাহের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চারটি প্রতিষ্ঠান সিডিউল জমা দিয়েছে গালফ, বিএফএস, সৌদিয়া ও কাইফ এন্টারপ্রাইজ। গত ৭ আগস্ট দরপত্র বাক্স খোলার তারিখ ঘোষণা করলেও সেটির ফলাফল এখনও প্রকাশ পায়নি।
এর আগে ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেশের জাতীয় একটি দৈনিক ও সিলেটের স্থানীয় একটি দৈনিকে এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তির এক শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে, দরপত্র দাতা প্রতিষ্ঠানের মালিক বা চেয়ারম্যান বা মালিকানা বোর্ডের যে কারো নামে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন ৩ (তিন) বছরের মধ্যে কোন ফৌজদারী মামলা, আর্থিক সংক্রান্ত মামলা, রাষ্ট্রদোহী মামলা, অনিয়ম ও জালিয়াতির মামলায় অচ্ছি হলে অথবা সাজাপ্রাপ্ত হলে উক্ত প্রতিষ্ঠান অত্র দরপত্রে অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন। সফলকাম দরপত্রদাতার পর রাষ্ট্রদোহ মামলার আসামী এবং সাজা প্রাপ্ত বলে প্রমানিত হইলে তাহার দরপত্র বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা হইবে। মালিকানার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, মালিকানা বা প্রতিষ্ঠানের নামেও মামলা চলমান নেই বা চলমান থাকলে তার মামলা নম্বর, বর্তমান অবস্থা ইত্যাদি উল্লেখ পূর্বক অঙ্গীকার নামা প্রদান করতে হয়। অঙ্গিকার নামায় তথ্য গোপন করলে/ ভুল তথ্য প্রদান করা হলে/তথ্য প্রদান করা না হলে দরপত্র মূল্যায়ন কালীন সময়ে বা চুক্তি কালীন প্রমানিত হলে অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবেন।
বর্তমানে ওসমানী হামসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের দায়িত্বরত সংস্থার মালিকের বিরুদ্ধে সে শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ আগেই উঠে। এর তোয়াক্কা না করেই সেই কোম্পানীকে নতুন করে দায়িত্ব দেযার পায়তারা চলওেছ-এমন অবিযোগ হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের। জানা গেছে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস এর চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক স্বপন (৪৪), বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে ঢাকার পল্টন থানায় মামলা নং-২০-এ চার্জশীটভুক্ত আসামী তিনি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নতুন টেন্ডারের ফলাফল ঘোষণার আগেই এ সংস্থাটির লোকজন বিভিন্ন চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে সিভি সংগ্রহ শুরু করেছেন। গালফ সিকিউরিটি সার্ভিসেস এর সুপারভাইজার মোবারক হোসেন এ বিষয়ে আগাম তৎপরতা শুরু করেছেন। ফলে অন্যান্য দরপত্র গ্রহীতাদের মাঝেও নানা ধরণের কানাঘুষা চলছে।
এ বিষয়ে ওসমানী হাসাপাতালের সহকারী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হলে মূল্যায়ন কমিটি বিষয়টি দেখবেন। এছাড়া টেন্ডারের বিষয়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যাছাইবাছাই করার জন্য তদন্তে দেওয়া হয়েছে মূল্যায়ন কমিটিকে। তাদের তদন্ত শেষে দরপত্র গ্রহীতার নাম প্রকাশ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd