সিলেট ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরের লালদীঘি হকার্স মার্কেটে সন্ত্রসী হামলা লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিলেট জেলা শ্রমিকদল নেতা মোঃ রুহুল আমিন রুবেল। মামলায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সদ্য পদচ্যুত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে প্রধান করে ১৩ জনকে এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মোমেন মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর মূলে আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দের জন্য সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ওসিকে আদেশ প্রদান করেছেন।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন-সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সদ্য পদচ্যুত ও পলাতক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (৬৯), এসএমপি সিলেট এর উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ (৫০), এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম উত্তর) মোঃ সাদেক দস্তগীর কাউছার (৪০), নগরের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কল্লোল গোস্বামী, কোতয়ালী মডেল থানার সদ্য বদলী হওয়া অফিসার ইনচার্জ মো: মঈন উদ্দিন, আলোচিত চাঁদাবাজ হাকার্সলীগ নেতা রুমন আহমদ (৩২), সিলেট মহানগর আওয়ামী হকার্সলীগের সভাপতি চাঁদাবজ রকিব আলী (৫০), মেয়রের পিএস শহীদ চৌধুরী (৫৫), সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জিল্লুর রহমান দারা (৫০), বঙ্গবন্ধুু প্রজন্মলীগ সিলেট মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁদাবাজ মো: ছুরত আলী (৪৬), হাকার্সলীগ নেতা খোকন আহমদ (৪২), সুমন আহমদ (৩৬) ও যুবলীগ নেতা আব্দুল মুকিত (৫০)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়- আসামিরা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা হকারদের কাছ থেকে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ২৩ জুলাই বিকেলে নগরের লালদিঘীর পার পূর্ণবাসনকৃত হকার্স মার্কেটে সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ব্যবসায়ীদের দোকানের লাখ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয় এবং দোকানগুলো তছনছ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এমনকি ব্যবসীদের অবরোধ ও আটক করে তাদের উপর শারিরীক নির্যাতন চালায়।
এসময় তারা আটজন হকার ব্যবসায়ীকে আটক করে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতন করে। পরদিন ২৪ জুলাই তাদেরকে আদালতে মাধ্যমে প্রেরণ করেন।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়- তৎকালীন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান, তার এপিএস ও এসএমপির আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) এবং তাদের অধঃস্তন পুলিশ কর্তাদের নির্দেশে হাকার্সলীগ নেতা চাঁদাবাজ রুমন আহমদ, রকিব আলী ও মোঃ ছুরত আলী দীর্ঘদিন থেকে হকার্সদের উপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছিল।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি সিলেট জেলা বারের অ্যাডভোকেট সায়েম খান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd